
মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ভবন থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে দুই মিনিট পায়ে হাঁটার পথের মধ্যে এই দূর্গটির অবস্থান। ইদ্রাকপুর দূর্গ ১৬৬০ সালে মীর জুমলা কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। তখন ইছামতি নদী এই দিক দিয়ে প্রবাহিত হতো। ইদ্রাকপুর দুর্গের সাথে নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দা দুর্গ ও হবিগঞ্জ দুর্গের মিল লক্ষ্য করা যায়। এই দূর্গ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পর্তুগীজ ও মগ জলদস্যুদের কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁ ও মুন্সীগঞ্জকে সুরক্ষিত করা। ১৯৫৯ সালে এটিকে বাংলাদেশের প্রতœতাত্তি¦ক সম্পদ ঘোষণা করা হয়। তারপর বহুদিন এটি অবহেলিত ছিল। একসময় এটি এস.ডি.ওর বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই দুর্গের অভ্যন্তরে একটি সুরঙ্গ ছিল। কথিত আছে, এই সুড়ঙ্গে কোনো কিছু গেলে তা আর ফিরে আসে না। একবার কোন এক এস.ডি.ওর ছেলের বল সুড়ঙ্গের মধ্যে পড়ে যায়। ছেলেটি বল আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তারপরেও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের বিশ্বাস এই সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে ইছামতি ও ধলেশ্বরী নদীতে যাওয়া যেত। ২০১৪ সাল থেকে এটিকে জাদুঘরে রূপ দেয়ার কাজ চলছে।